No #1 Platform For Job Updates

Join us on Telegram

Join Now

Join us on Whatsapp

Join Now

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য সেরা প্রস্তুতি: A to Z গাইড

BCS Written Preparation: বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং ধাপ হলো লিখিত পরীক্ষা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেখানে একটি বাছাই প্রক্রিয়া, লিখিত পরীক্ষা সেখানে আপনার গভীর জ্ঞান, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং লেখার দক্ষতার চূড়ান্ত যাচাই। একজন প্রার্থী কেবল লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বিবেচিত হন। তাই বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া চলে না। এই আর্টিকেলে আমরা লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার BCS Written Preparation-কে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো দেবে।

এই আর্টিকেলে যা যা জানবেন

  • লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন।
  • প্রতিটি বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি কৌশল।
  • লেখার দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যকরী উপায়।
  • লিখিত পরীক্ষার জন্য সেরা কিছু বই।

লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন

বিসিএস লিখিত পরীক্ষা মোট ৯০০ নম্বরের হয়। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাডারের জন্য ৭০০ নম্বর এবং টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল ক্যাডারের জন্য বাকি ২০০ নম্বর (সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর) থাকে। এখানে সাধারণ ক্যাডারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মানবন্টন তুলে ধরা হলো:

বিষয় নম্বর
বাংলা ২০০
ইংরেজি ২০০
বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০
মোট ৭০০

প্রিলিমিনারি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাধারণত তিন থেকে চার মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এই সীমিত সময়ে সব বিষয় ভালোভাবে আয়ত্ত করতে একটি গোছানো পরিকল্পনা অপরিহার্য।

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও কৌশল

১. বাংলা (২০০ নম্বর)

  • প্রস্তুতি কৌশল: এটি একটি স্কোরিং বিষয়। সাহিত্য অংশে ৩০-৪০ নম্বরের জন্য সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে পড়তে হয়। ব্যাকরণ অংশে সন্ধি, সমাস, কারক ও বিভক্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন আসে। রচনা, সারাংশ, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ এবং পত্র লেখার ওপর নিয়মিত অনুশীলন করা জরুরি।
  • যেভাবে পড়বেন: নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের পাশাপাশি ভালো মানের গাইড বই অনুসরণ করতে পারেন। প্রতিদিন একটি করে ভাবসম্প্রসারণ ও অনুবাদ লেখার অভ্যাস করুন।

২. ইংরেজি (২০০ নম্বর)

  • প্রস্তুতি কৌশল: ইংরেজির জন্য দু’টি পেপার থাকে। একটিতে রচনা, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ এবং চিঠি বা রিপোর্ট লেখার মতো বিষয় থাকে। অন্যটিতে থাকে গ্রামার, ট্রান্সলেশন, এবং রিডিং কম্প্রিহেনশন।
  • যেভাবে পড়বেন: নিয়মিত ইংরেজি সংবাদপত্র (যেমন: The Daily Star) পড়ুন। এটি আপনার ইংরেজি লেখার দক্ষতা ও ভোকাবুলারি বাড়াতে সাহায্য করবে। একটি ভালো মানের ইংরেজি গ্রামার বই অনুসরণ করুন।

৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি (২০০ নম্বর)

  • প্রস্তুতি কৌশল: এই অংশে বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূ-রাজনীতি, সংবিধান, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে প্রশ্ন আসে। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় প্রাসঙ্গিক ডেটা ও পরিসংখ্যান ব্যবহার করলে নম্বর বেশি পাওয়া যায়।
  • যেভাবে পড়বেন: সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিশেষ জোর দিন। দৈনিক পত্রিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো কেটে নোট তৈরি করুন।

৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (১০০ নম্বর)

  • প্রস্তুতি কৌশল: বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, ভূ-রাজনীতি, সাম্প্রতিক বিশ্ব ঘটনাবলী, অর্থনৈতিক সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক আইনের ওপর প্রশ্ন আসে। এই অংশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকা।
  • যেভাবে পড়বেন: প্রতিদিনের সংবাদপত্র পড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রকাশিত বইগুলো পড়ুন। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা, বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, সার্ক, আসিয়ান ইত্যাদি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা রাখুন।

৫. সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (১০০ নম্বর)

  • প্রস্তুতি কৌশল: বিজ্ঞানের এই অংশে ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশ্ন আসে। আইসিটি বা কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান থেকেও প্রশ্ন করা হয়।
  • যেভাবে পড়বেন: সাধারণ বিজ্ঞানের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই এবং তথ্যপ্রযুক্তির জন্য কম্পিউটার সম্পর্কিত মৌলিক বইগুলো পড়ুন।

লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সময় ব্যবস্থাপনা

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য শুধু জ্ঞান থাকলেই হবে না, সেই জ্ঞানকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের দক্ষতাও থাকতে হবে।

  • ১. সুন্দর ও স্পষ্ট হাতের লেখা: হাতের লেখা পরিষ্কার ও স্পষ্ট হলে পরীক্ষকের পক্ষে উত্তর বোঝা সহজ হয়, যা নম্বর বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ২. সময় ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে অনুশীলন করুন। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য সময় খুবই সীমিত থাকে।
  • ৩. বুলেট পয়েন্ট ও ফ্লোচার্ট: কঠিন প্রশ্নের উত্তরগুলোকে বুলেট পয়েন্ট বা ফ্লোচার্ট আকারে উপস্থাপন করলে তা বেশি কার্যকর হয়।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যেখানে নিয়মিত পড়াশোনা, লেখার অভ্যাস এবং সময় ব্যবস্থাপনার সমন্বয় জরুরি। প্রিলিমিনারি পাশের পর বাকি সময়টুকু প্রতিটি সেকেন্ড কাজে লাগাতে হবে। একজন চাকরিপ্রত্যাশী হিসেবে, আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশনা চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। আপনার ক্যারিয়ার সংক্রান্ত আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন Metro News 71-এর চাকরির খবর

সম্পর্কিত আর্টিকেলডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি: আবেদন করার সহজ নিয়ম ও খুঁটিনাটি

Related Posts

এমআইটি-এর ফ্রি অনলাইন কোর্স

এমআইটি-এর ফ্রি অনলাইন কোর্স: বদলে যাক আপনার ক্যারিয়ার

৪৭তম বিসিএস

৪৭তম বিসিএস: প্রিলিমিনারিতে শ্রুতিলেখক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

সিভি লেখার নিয়ম ও কৌশল

সিভি লেখার নিয়ম ও কৌশল: পারফেক্ট CV তৈরির A-Z গাইড

1 thought on “বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য সেরা প্রস্তুতি: A to Z গাইড”

Leave a Comment

Prothom Chakri

Prothomchakri.net হলো বাংলাদেশের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল ঠিকানা। আমরা প্রতিদিনের সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষার নোটিশ এবং কার্যকর ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে আসি, যা আপনার সফলতার পথকে মসৃণ করে।