SSC Re-scrutiny Result: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। আজ রোববার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, নতুন করে ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে পাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো, ফেল করা ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের পর পাস করেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মনজুরুল কবীর প্রথম আলো-কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এবার পুনর্নিরীক্ষণের জন্য মোট ৯২ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষার্থী ২ লাখ ২২ হাজার ৫৩৩টি পত্রের ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলোর মধ্যে মোট ২ হাজার ৯৪৬ জনের ফলাফল বা গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে পাস করে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন, যেখানে পাসের হার ছিল ৬৮.০৪ শতাংশ। এটি গতবারের তুলনায় পাসের হারে উল্লেখযোগ্য পতন ছিল, যা গত বছর ছিল ৮৩.৭৭ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন, যা গতবারের তুলনায় ৩৮ হাজার ৮২৭ কম। তবে আজকের SSC Re-scrutiny Result প্রকাশের পর সেই সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
এই ফলাফল পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত হলো। একইসঙ্গে এটি প্রমাণ করে যে, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ভুলত্রুটির সম্ভাবনা থেকে যায় এবং পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন ১: এসএসসি ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ঢাকা বোর্ডে কতজন নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে?
-উত্তর: ঢাকা বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষণের পর নতুন করে ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
প্রশ্ন ২: কতজন পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে?
-উত্তর: পুনর্নিরীক্ষণে ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে।
প্রশ্ন ৩: মোট কতজন পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল?
-উত্তর: মোট ৯২ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল।
প্রশ্ন ৪: কতটি পত্রের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে?
-উত্তর: মোট ২ লাখ ২২ হাজার ৫৩৩টি পত্রের মধ্যে ২ হাজার ৯৪৬টি পত্রের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে যাদের প্রত্যাশিত ফলাফল আসেনি, তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি ন্যায়বিচার ও দ্বিতীয় সুযোগের একটি পথ খুলে দেয়। এবারের ফলাফল পরিবর্তন প্রমাণ করে যে, সামান্য ভুলত্রুটিও অনেক শিক্ষার্থীর জীবন বদলে দিতে পারে। এই পরিবর্তিত ফলাফল নতুন করে সফল হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তা নিয়ে এসেছে।
সম্পর্কিত আর্টিকেল: চুয়েটে চাকরি মেলা: উৎসবমুখর পরিবেশে ২০টি প্রতিষ্ঠানে সিভি জমা দিলেন শত শত শিক্ষার্থী



